হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত এখনো তালেবান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি এবং তারা কাবুলে একটি সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী তাঁর প্রথম সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি মুতাকির প্রথম ভারত সফর। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত আশরাফ ঘানি সরকারের পতনের পর থেকে ভারত ও তালেবান সরকারের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মুত্তাকীর গত মাসে নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে সফরটি বাতিল করা হয়। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর ইউএনএসসি-র একটি কমিটি তাঁকে ৯ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের সফরের অস্থায়ী অনুমতি দেয়।
উল্লেখযোগ্য যে, ইউএনএসসি তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ফলে বিদেশ সফরের জন্য তাঁদের বিশেষ ছাড়পত্র নিতে হয়।
মুত্তাকীর এই সফর ভারতের সঙ্গে কাবুলের তালেবান প্রশাসনের সম্পর্ককে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ১৫ মে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর মুত্তাকীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন-যা তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বলে বিবেচিত হয়েছে।
ভারত এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও, তারা কাবুলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের ওপর জোর দিচ্ছে।
এছাড়াও, ভারত সরকার বারবার বলেছে যে আফগান ভূমি যেন কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার না হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে তালেবান প্রশাসন পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি ও মুত্তাকীর বৈঠকের পর ভারতকে একটি “গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক শক্তি” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ভারত ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে গম ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীসহ একাধিক মানবিক সাহায্যের চালান পাঠিয়েছে এবং দেশটিতে চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।
আপনার কমেন্ট